বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবা-মেয়ে প্রার্থী: প্রভাব বিস্তারে পরিকল্পনার অভিযোগ

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:১৪

‘নিজের ও তার মেয়ের পাশাপাশি এ সব কাউন্সিলর প্রার্থী এজেন্টের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সময় তিনি প্রভাব বিস্তার কিংবা তার প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছেন।’

বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে আলোচিত মেয়র প্রার্থী বাবা-মেয়ের বিরুদ্ধে এবার ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট পাঠিয়ে কৌশলে প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে।

আসন্ন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের পাশাপাশি প্রার্থী হয়েছেন তার মেয়ে মহসিনা মিতুল।

শাহাদাত হোসেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। লড়ছেন জগ প্রতীক নিয়ে। তার মেয়ে মহসিনা মিতুল পেয়েছেন হেলমেট প্রতীক।

ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রে নিজের এজেন্ট বৃদ্ধির জন্য টাকা দিয়ে বেশ কয়েক জন নারীকে কাউন্সিলর প্রার্থী করানোর অভিযোগও রয়েছে শাহাদত হোসেনের বিরুদ্ধে।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ নিউজবাংলাকে বলেন, আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে নৌকাকে হারিয়ে দিতে শাহাদাত হোসেন নিজে প্রার্থী হয়েছেন। প্রার্থী করেছেন তার মেয়েকেও। শুধু তা-ই নয়, শাহাদাত হোসেন তার কালো টাকা দিয়ে বেশ কয়েক জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘নিজের ও তার মেয়ের পাশাপাশি এ সব কাউন্সিলর প্রার্থী এজেন্টের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সময় তিনি প্রভাব বিস্তার কিংবা তার প্রতীকে প্রকাশ্যে ভোট দিতে ভোটারদের ওপর চাপ প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছেন। তাই আগেভাগেই আমি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিবার্চনে শাহাদাত হোসেন কালো টাকা ঢেলেছেন। এছাড়া নিত্য নতুন কৌশলে তিনি আমার ও আমার নেতা-কর্মীদের নামে একের পর এক অপবাদ দিচ্ছেন। যেখানে বিএনপিসহ অন্য আর সাত জন প্রার্থীর আমার বিরুদ্ধে একটিও অভিযোগ নেই, সেখানে আমার নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন গুজব ছড়াচ্ছেন শাহাদাত হোসেন। আমি এর প্রতিকার চাচ্ছি।’

বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট হালিম বলেন, ‘বাবা-মেয়ে একসঙ্গে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পেছনে নিশ্চই কোনো কারণ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে যদি কেউ ভোটকেন্দ্র বা ভোটগ্রহণে প্রভাব বিস্তার করতে চান, তাহলে এর যথাযথ জবাব দেবে আমার এজেন্ট, কর্মী ও সমর্থকরা।’

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান মহারাজ ও বিএনপি প্রার্থী আবদুল হালিম।

তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি প্রার্থী হওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কাছ থেকে হুমকির শিকার হয়েছি। জীবননাশের শঙ্কায় ভুগছি। সে কারণেই মেয়েকে প্রার্থী করেছি।’

এ বিষয়ে তার মেয়ে মহসিনা মিতুল বলেন, ‘আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি আমার বাবার জন্য। আমি বাবার পক্ষে প্রচার চালাচ্ছি, এটা সত্য নয়। মেয়র পদে আমার পছন্দের প্রার্থী আমার বাবা। তাই আমি আমার ভোট আমার বাবাকেই দেব। তাছাড়া নির্বাচনে আমি যেহেতু একজন প্রার্থী তাই কেন্দ্রে আমার বাবার পাশাপাশি আমার মনোনীত এজেন্টও থাকবে।’

এদিকে ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ফারুক সিকদারের পাশাপাশি একই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসি আক্তার। তারাও প্রভাব বিস্তারের পরিকল্পনা করছেন বলে অভিযোগ।

ফারুক শিকদার উট পাখি প্রতীকে সরব প্রচার চালাচ্ছেন। তবে ডালিম প্রতীক নিয়ে ঘরেই বসে আছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসি।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মমিনুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে মাত্র তিন জন কাউন্সিলর প্রার্থী। আমি ছাড়া অন্য দুজন হলেন ফারুক ও তার স্ত্রী ফেরদৌসি। আমার ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি বুথে যেখানে আমি একজন করে এজেন্ট পাব, সেখানে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফারুক পাচ্ছেন দুজন করে। তার ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন।’

এ বিষয়ে ফারুক শিকদার বলেন, ‘আমার নামে মামলা আছে। এ জন্য যদি আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারি, তাই আমার স্ত্রীকে প্রার্থী বানিয়েছি।’

রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, ‘একই পরিবার থেকে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অন্যদের থেকে বেশি পোলিং এজেন্ট পাওয়ার সুবিধা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার পাশাপাশি অন্য কোনো পরিকল্পনা যদি কোনো প্রার্থী নিয়ে থাকে, তাহলে তা বাস্তবায়ন হবে না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে।’

বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৩৫ জন কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

৩০ জানুয়ারি মোট নয়টি কেন্দ্রের ৮০টি বুথে ভোট হবে। মোট ভোটার ২৬ হাজার ১২ জন। নারী ১৩ হাজার ৮৫ জন এবং পুরুষ ১২ হাজার ৯২৭ জন।

এ বিভাগের আরো খবর